গুরু মহাশয়
.jpg)
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে কিছু কথা
মোঃ আরিফ হোসেন
রবীন্দ্রনাথ এর প্রেম: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৩ সালে ভবতারিণী দেবীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।ভবতারিণী দেবী ঠাকুর পরিবার এর এক অধস্তন কর্মচারীর কন্যা ছিলেন।বিয়ের পর ভবতারিণী দেবীর নাম হয় মৃণালিনী। ভবতারিণীর ঘরে রবীন্দ্রনাথ এর মোট পাঁচটি সন্তান জন্ম লাভ করে। এর মধ্যে দুটি সন্তান অল্প বয়সেই মারা যায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সব কাব্যে প্রেমকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দুজন ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে অনাদি কালের হৃদয় উৎস হতে। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ প্রেমকে দেখেছেন এ মহাবিশ্বের মহাকালের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ এর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী ১৯০২ সালে অকালে প্রয়াণ লাভ করেন।তাতে তিনি ভীষণ বিষন্ন হয়ে পড়েন।মৃণালিনী দেবী ছাড়াও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো নামে এক বিদেশিনীর প্রেমে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। আর্জেন্টাইন ঐ নারীর নাম ছিল ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো।যতটুক জানা যায় ঐ নারীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি ছবিও এঁকেছিলেন।রবীন্দ্রনাথ এর একটি গানের কয়েকটি লাইন হল, আমি চিনিগো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী..................। এ গানে কবি নারীর প্রতি এক ধরনের নস্টালজিয়া অনুভব করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এর সব গান ও কবিতায় প্রেম এক অনন্য স্থান লাভ করেছে। তিনি লিখেছেন,
যদি প্রেম দিলেনা প্রাণে
কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে এমন গানে গানে?
কেন তারার মালা গাঁথা
কেন ফুলের শয়ন পাতা।
রবীন্দ্রনাথ এর শেষ জীবন : রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে এক ধরনের একাকিত্ব ও সাহিত্যকে অনুসঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ১৮৪১ সালে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও কাব্য চর্চায় অগ্রণী ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ সেই কবি যিনি বেঁচে থাকবেন বাংলা সাহিত্য যতদিন বেঁচে আছে ততদিন।রবীন্দ্রনাথ এর কথা শুধু মুখে বলেই শেষ করা যায় কিন্তু ছবি এঁকে বা কল্পনা করে শেষ করা যায়না।
রবীন্দ্রনাথ এর সৃষ্টিকর্ম: রবীন্দ্রনাথ মোট ৫২ টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেন। তিনি সবসময় তাঁর গান নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন।তিনি বলতেন আমার সব হারিয়ে গেলেও আমি গানের মধ্যে বেঁচে থাকব।কবিতা ও গান ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ১৩ টি উপন্যাস, ৯৫ টি ছোট গল্প, ৩৬ টি প্রবন্ধ ও ৩৮ টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এর সামগ্রিক চিঠিপত্র ১৯ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের আগাগোড়াই সাহিত্যকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। সাহিত্য চর্চাই ছিল তাঁর কাজ।
আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা
ReplyDelete